কলকাতা: রঙ্গমঞ্চের সাম্রাজ্ঞীর জীবনী এবার সেলুলয়েডে। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বিনোদিনী’ (Binodiini Ekti Natir Upakhyan Released। ছবির জন্য নিজেকে বিনোদিনী হিসেবে ভেঙেচুরে নাট্য সম্রাজ্ঞীর রূপ দিয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। সেই ছবি দেখে দর্শকদের কেমন লাগল, তা জানতেই প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছেছিলেন রুক্মিণী সহ সিনেমার কলাকুশলীরা।
বিনোদিনীকে (Binodiini Ekti Natir Upakhyan) বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এই থিয়েটারকে আমি পুজো করি। ‘থিয়েটার থিয়েটার থিয়েটার…’। হ্য়াঁ, এই থিয়েটারই ছিল তাঁর প্রাণভোমরা, তাঁর জীবন। অসামান্যা প্রতিভাময়ী হয়েও আজন্ম বঞ্চনা আর অবহেলার শিকার হয়ে জীবন কাটান তিনি। বাংলা মঞ্চ জগতের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী বিনোদিনী দাসী ফিরে এলেন তাঁর নিজ রঙ্গমঞ্চে। দীর্ঘ লড়াইয়ে পর মিলেছে স্বীকৃতি। ১৪১ বছর পর ‘বিনোদিনী’ ফিরলেন বিনোদিনী থিয়েটারে। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বিনোদিনী’।
আরও পড়ুন: ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দিয়েই ঋত্বিককের শ্রদ্ধার্ঘ্য
ছবিতে রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা গিয়েছে বিনোদিনী দাসীর ভূমিকায়। ছবির শেষে দর্শকদের সামনে রুক্মিণী আসতেই তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। প্রত্যেকেই জানাতে থাকেন তাঁদের ছবি নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। দর্শকদের ভালবাসায় উচ্ছ্বসিত রুক্মিণীও। বিনোদিনী থিয়েটারে হাজির হয়েছিলেন রামকমল, রুক্মিণী ও ওম। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সদ্যই স্টার থিয়েটারের নাম বদলে রাখা হয়েছে বিনোদিনী থিয়েটার। সেই কারণেই প্রথমদিনে এই থিয়েটারই রুক্মিণীরা বেছে নিয়েছিলেন দর্শকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে প্রচুর কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে রুক্মিণীকে। কোনওরকম কটাক্ষে কান না দিয়ে নাচ ও অভিনয় অনুশীলন করে যাওয়া। সেই পরিশ্রমের ফল আজ দর্শকদের দরবারে।
View this post on Instagram
অন্য খবর দেখুন